নিজস্ব সংবাদাতাঃ– জ্যোতিষ বিদ্যা এক প্রাচীন বিদ্যা ও কল্প বিঞ্জান । যা ভারতীয় সংস্কৃতিতে আস্থা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের এক প্রগাঢ়ো উদাহরণ রুপে প্রতিভাত হয়। আর ভারতীয় প্রাচীন ধর্মীয় সংস্কৃতির সেই স্বর্ণ যুগীয় রসদ কে অবলম্বন করে মানুষ আজও ধর্ম ও বিজ্ঞানের মেল বন্ধনকে আজকের আধুনিক জীবনেও বাস্তব রুপায়েনের মাধ্যমে ব্যাবহার করে চলেছে জীবন ও জীবনধারণের মান উন্নয়েনের ক্ষেত্রে । যা কিছুক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতার সমন্ময়ে আগামীর সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করে চলেছে যুগ যুগ ধরে ।
তেমনি পূর্ব অভিজ্ঞতা ও প্রাচীন মহাকাশ বিজ্ঞানের সমন্ময়ে প্রাচীন বৈ্দিক সভ্যতায় জ্যোতির বিজ্ঞানের কিছুটা পরিবর্তিত রুপ হিসাবে বৈ্দিক শাস্ত্র বেদে বর্ণিত হয় জ্যোতিষ নামক কল্প বিঞ্জানের । যা বেদের অঙ্গ হিসাবে বেদাঙ্গ জ্যোতিষ রুপে প্রাচীন আর্য সভ্যতায় মনুষ্য জীবনের ভুত ভবিষ্যৎ বর্তমান কাল নিয়ে আলোচনা শুরু করে। যা মহাকাশে নিরুপিত গ্রহ নক্ষত্রের মনুষ্য তথা মহাজাগতিক প্রাণী কুলের উপর প্রভাব কে নিয়ে আলোচনা শুরু করে ।
ক্রমে আধুনিক গবেষণা ও তার ফলস্রুতিকে ব্যবহারিক জীবনে ব্যাপক অর্থে প্রয়োগ শুরু হয় যা আজকের আধুনিক ভারতীয় জ্যোতিষবিদ্যা হিসাবে পৃথিবীর প্রায় ২০০ টির ও বেশী দেশে চর্চিত হচ্ছে এবং বহু ক্ষেএে তা নিজেকে ভবিসৎ দ্রষ্টা হিসাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বর্তমান ভারতবর্ষে বহু মানুষ আধুনিক জ্যোতিষ কে পেশা হিসাবে নিয়েছেন কিন্তু প্রাচীন শাস্ত্রে বর্ণিত এই পেশাকে কিছু মানুষ যেমন সরকারী স্বীকৃতি দানের পক্ষে আবার এক শ্রেণীর মানুষ কল্প বিঞ্জান নীরভর হওয়ায়ে এই পেশাকে সরকারী স্বীকৃতি দানের বিরোধিতা করেছেন।
তারাপীঠ তপোবন আয়োজিত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রাক ১২৫ তম জন্ম শত বার্ষিকী উদযাপন ও সমাজের বিশেষ ভাবে সক্ষম ছাত্র ছাত্রীদের সহায়তা দান অনুষ্ঠানে সংস্থার কর্ণধার গুরুজি শ্রী বিনয় মহারাজ ও তার জ্যোতিষ অনুগামী শিষ্য ও সহকর্মী বৃন্দের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুপ্রীম কোটের আইনজীবি তথা অল ইন্ডিয়া লিগাল এড ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবং তারাপীঠ তপবনের চেয়ারপারসন মাননীয় জয়দীপ মুখার্জি মহাশয়কে অনুরধ করেন অন্যান্য পেশার মতন জ্যোতিষ পেশাকে সরকারী স্বীকৃতি দানের জন্য আবেদন ও তার সফলতার ব্যবস্থা করার জন্য।